Friday, 2 March 2018
Thursday, 1 March 2018
Basanto utasab
live life proudly
March 01, 2018
Basanto utasab, bengali culture
No comments
বসন্ত উৎসব
আজ বসন্ত উৎসব । সকলকে জানাই বসন্ত উৎসবের অভিনন্দন । বসন্ত আমাদের জীবনকে নানান রঙে রাঙ্গিয়ে তোলে, আর সেই সঙ্গে প্রকৃতিও সেজে ওঠে আবিরের নানান রঙে। সেই সঙ্গে পলাশ ফুলও তার শোভা ফুটিয়ে তোলে প্রকৃতির মাঝে । মানুষ আনন্দে উৎসাহিত হয়ে ওঠে । প্রত্যেকটা মানুষ বাল্য কালের সেই সময়টা প্রচন্ড ভাবে মনে করে।
আজ আমার মনে পরছে ছোট বেলায় রং মাখা মানুষ গুলোকে দেখলে কতে ভয় পেতাম, আর যখন আমাকে রং মাখাতো সবাই তারপর আমিও জেদ করে ওই রং মাখা ভুতেদের দলে নাম লেখাতাম। তারপর আর কী মজা তো হতোই বেলার শেষে বাড়ি ফিরতাম ওই রং মাখা মুখ নিয়ে, তারপর মায়ের বকা খাওয়া। তারপর স্নান সেরে বড়দের পায়ে আবির দিয়ে প্রণাম করতাম তারা এতো বকার পরেও হাসিমুখে ভালোবেসে আশিরবাদ করতো আমরা যেনো সব সময় এমন ভাবেই থাকি। এই ভাবেই কেটে যেতো বসন্ত উৎসবের দিনটা।
Tume je amar
live life proudly
March 01, 2018
bengali love story, love story, sad
No comments
তুমিযে শুধু আমার
Tuesday, 27 February 2018
Valobasar akte sundor galpo part 7
live life proudly
February 27, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
তুমি পুরো একটা পাগলি। আমি যদি কোনো ভুল করি, তাহলে কেন আমার কানটা শক্ত করে ধরে বলতে পারোনা? রুদ্র তুমি ভুল করেছো।
বলবে তো আজথেকে?
তাহলে দেখো আমি আর কোনো ভুল করবো না। তাহলে আর তোমাকে রাগ করতে হবেনা। আমরা আবার আগের মতো খুব সুখী একজোড়া জীবন সঙ্গী হয়ে উঠতে পারবো। আমি তোমার সব কথা শুনবে। আর তোমাকেও কথা দিতে হবে, তুমিও আমার সব কথা শুনবে। আর আমরা দুজনে দুজনকে সব কথা বলবো যেগুলো এতদিন বলতে পারিনি। আমিতো বলতে চেয়েছি। কিন্তু তুমি শুনতে চাওনি। আজ শুনতে হবে কিন্তু? এর আমিও তোমার সব নাবলা কথা শুনবে। আর নিজেকে তোমার মত করে গড়ে তুলবো। কথা দিলাম। সারা জীবন তোমার পাশে থাকবো, তোমার রক্ষা কবজ হয়ে। থাকতে দেবেতো?
Valobasar akta sundor galpo part 6
live life proudly
February 27, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
জানি না আমার ভগবান আমার দিকে কবে মুখ তুলে তাকাবে। কবে আমাকে ভালোবেসে নিজের বুকে টেনে নেবে। কবে আমার সব ভুল মুছেযাবে, তা আমার জানা নেই। সুদূর অপেক্ষা...
এই অপেক্ষা কত দিন করতে পারবো আমি জানিনা। জানি না আমি এত দিন থাকবো কিনা। আমার আবার তোমাকে দেখা হবে কিনা। ভয় হয়, যদি আর কোনো দিন দেখা না হয়। যদি শেষ মুহূতে তুমি আমার পাশে না থাক। তাহলে আমাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। তোমাকে দাও সব কথা মিথ্যা হয়ে যাবে।
আমার জীবন এর শেষ ইচ্ছে, তোমার বুকে মাথা রেখে , তোমার চোখে চোখ রেখে , তোমার হাতে হাত রেখে, শেষ নিশ্বাসের , শেষ শব্দে আই লাভ ইউ বলে যেতে চাই।
আমার শেষ ইচ্ছে পূরণ হবেতো পাপিয়া।
Monday, 26 February 2018
i am rudra, my love story
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story
No comments
আমি রুদ্র, আজ আমার জীবন আর এই গল্প বলবো
আমি রুদ্র, আজ আমার জীবন আর এই গল্প বলবো। সবার জীবন এ যেমন খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন থাকে, ঠিক তেমনই আমার জীবনও আছে একজন। যাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। কিন্তু আমি আজ ওর থাকে অনেকে দূরে চলেগেছি। খুব খারাপ ব্যবহার করেছিলাম ওর সাথে।এতটাই খারাপ করছি, যার শাস্তি আজ আমি পাচ্ছি।
একদিন সকালে হঠাৎ whatswapp খুলে দেখলাম সব পুরানো বন্ধুরা একটা গ্রুপ খুলেছে। সেখানে সবাই কে আমি চিনতাম, সুদু একজনকে আমি চিনতাম না। যার নম্বর আমার কাছে আগে ছিলোনা। কথা বলে বুজতে পারলাম ওর নাম পাপিয়া। কিন্তু আমরা কথা কম বলতাম আর ঝগড়া বেশি করতাম। এই রকম ঝগড়া করতে করতে কবে মেয়ে তাকে ভালোবেসে ফেললাম বুজতেই পারিনি। তখন ১ এপ্রিল , আমার মনের সব কথা ওকে বলবো ভেবেনিলাম। ১এপ্রিল বলা শুরু করেছি,২ এপ্রিল বলা শেষ করলাম। খুব ভয় পাচ্ছিলাম। ৪ এপ্রিল , হম্ম বলার পর আমি ভীষণ হ্যাপির । তারপরে দেখতে দেখতে অনেক কটা দিন কেটে গেল। খুব হ্যাপি ছিলাম আমরা।
Funny story
........................
পাঁচতলা ফ্ল্যাটের চারতলায় থাকেন সুন্দরী এক বৌদি ...
.
সেদিন সকালে বৌদি ঝুলবারান্দায় শাড়ী মেলেছেন ...
.
লম্বা লাল হলুদ শাড়ীটা , চারতলার ঝুলবারান্দা থেকে ঝুলে সোজা নিচে তিনতলার , সরকার বাবুর ঝুলবারান্দার উপর , হাওয়ায় দোল খাচ্ছিলো ...
.
সরকার বাবু শাড়ীর শেষপ্রান্তে , দুটি ক্লিপ দিয়ে ভিজে লুঙ্গিটা ঝুলিয়ে দিলেন ...
.
সুন্দরী বৌদির সুন্দর শাড়ী আর সরকার বাবুর লুঙ্গি মৃদু হাওয়ায় একসঙ্গে দোল খেতে লাগলো ...
.
"দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা
দোলে কৃষ্ণ দোলে ঝুলনা....
...
...
মাধব কহিছে ওগো রাধা
তুমি আমি একই সুরে বাঁধা
এ বাঁধন কভু খুলনা ....."
.
না !!.....এমন কোনো রোমান্টিক সিচুয়েশন তৈরী হয়নি ....
বিকালে যেটা হয়েছিল , সে এক ইউনিক সিচুয়েশন ....
.
বৌদি শাড়ী তুলতে এসে সরকার বাবুকে ডেকে বললেন , " আমি শাড়ী তুলছি .., আপনি লুঙ্গি খুলুন .."
.
😋😋😋😋😋😋😋😋😋😋
Love you
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
তাহলে তাকে হারিয়ে যেতে দিওনা। কারণ চোখের
জল হয়তো মুছতে পারবে, কিন্তু হৃদয়ের কান্নার
জল কোনো ভাবেই মুছতে পারবেনা।
ভালোবাসার মানুষ সে নয় ,
যাকে তুমি দীর্ঘ সময় ধরে চেনো।
অথবা……………
যে তোমার জীবনে প্রথম এসেছিলো?
অথবা……………
যে সবচেয়ে বেশি তোমার খেয়াল রেখেছিল…
ভালোবাসার মানুষ হল সে,
যে কখনো তোমায় ছেড়ে যাবে না,
যে এসেছিলো,
আছে এবং থাকবে সারাজীবন।।
Valobasar akte sundor galpo part 5
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
-বলো,
-চুপ করে আছো কোনো?
এই কথা বলে হাত ধরতে চায় অরিন্দম।এক ঝটকায়
হাতটা সরিয়ে দেয় অনামিকা।শেষ বিকেলের সোনারঙা আলো ওর
চোখেমুখে এসে পড়ছে।তাতে ওর চুলগুলো কেমন জ্বলজ্বল করছে।
ফর্সা গালদুটো লাল হয়ে আছে,রাগে।খুব রাগ করেছে অনামিকা।
এবং যথারীতি অরিন্দম তার রাগ ভাঙাতে হিমশিম খাচ্ছে।
-আমি কি করলাম অনামিকা?
-সারাদিন কোন রাজকার্য করছিলে যে একটু খোঁজ নেয়া গেলনা?
অরিন্দম চুপ হয়ে যায়।আজ দিনটা খুব ব্যস্ততার মাঝে গেছে।
সকালে বাজার করা,দুপুরে টিউশনি করানো,পড়তে যাওয়া, নিজে পড়তে বসা -
সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততা ছিল।এর মাঝে অনামিকে ফোন করার সময়ই পায়নি সে।
-আজ সত্যিই অনেক ব্যস্ত ছিলাম।জানোই তো আমার রুটিন।
-হ্যাঁ জানবো না কেন?তোমার রুটিনে তো সবই থাকবে কেবল আমিই নেই।
-এটা কি বললা?!!?
-ঠিকই বলেছি। এই বলে মুখ ভেঙিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখে ও।অরিন্দম এর
প্রচন্ড খারাপ লাগতে থাকে।
অভিমানী মেয়েটা কি বোঝেনা যে ওর ছোট্ট মনে কেবল
অনামিকারই পায়েল পড়া পায়ের আওয়াজ এর আনাগোনা,কেবল অনামিকারই
মায়াময় ঐ মুখ। ছোট্ট এক ফুলওয়ালী এগিয়ে আসে।
-ভাই ফুল নিবেন?
-না।বিরক্ত করিস না।যা।
-দিদিকে দিন।নিয়ে নিন ভাই।
-বললাম তো নিব না।যা এখান থেকে।
ফুলওয়ালী চলে যায়।খানিকপরে আবার আসে।
-ভাই নিযে নেন না একটা ফুল।দিদি রাগ
করে আছে দেখছি।ফুল দিন।খুশি হবে। অরিন্দম বেলীর মালা কেনে।অনামিকার দিকে ঘোরে।মেয়েটা এখন
ফুঁপিয়ে কাঁদছে।অরিন্দম অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।কাঁদলেও
যে কখনো মানুষকে এত সুন্দর লাগে ও জানেনা।মনের
গভীরে কোথাও যেন বদ্ধ আর্তনাদ হাহাকার করে ওঠে অরিন্দম এর।
ভালবাসার মানুষটিকে কাঁদতে দেখলে কারই বা ভালো লাগে?
-কাঁদছো কেন?
-অনেক সুখ যে আমার তাই।
-পাগলি একটা।এভাবে কাঁদলে চোখের কাজল সব
গালে মেখে যাবে।
-যাক তাতে তোমার কি?
-পরীর মতো সুন্দর মেয়েটাকে তখন যে পেত্নীর মতো দেখাবে।
এই বলে গোলগোল চোখে অনামিকার দিকে তাকায় অরিন্দম। অনামিকা হেসে ফেলে।কি সুন্দর ঐ হাসি!মুক্তোদানার মত।শেষ
বিকেলের আলোয় পরীর মতো সুন্দর ভালবাসার মানুষটার
প্রাণখোলা হাসি আরিন্দমকে প্রচন্ড এক ভালো লাগায় আচ্ছন্ন
করে। সন্ধ্যা হয়ে যায়।রাস্তার বাতি গুলো জ্বলে ওঠে।
অনামিকার হাতে বেলীর মালা।অরিন্দম ওর পাশাপাশি হাঁটছে।
হাত ধরার চেষ্টা করতেই অনামিকা চেঁচিয়ে ওঠে।
-হাত ধরবা না।এটা তোমার শাস্তি।
-আজব!আবার কি করলাম?
-এতক্ষণ যে একসাথে ছিলাম তখন একটাবারের জন্যেও কেন বলোনি আই লাভ ইউ?
অরিন্দম দাঁড়ায়।অনামিকাও দাঁড়িয়ে যায়।রাস্তার এ জায়গাটায়
আলোআঁধারীর খেলা।অন্ধকার কোণে কোনো এক প্রেমিকযুগলের
বাড়াবাড়ি চোখের কোণায় ধরা পড়ে।
সেদিকে পাত্তা দেয়না দুজনের কেউই।অনামিকার চোখের
দিকে তাকায় অরিন্দম।কয়েক মূহুর্ত কেবলই পলকহীন অপেক্ষা।
তারপর অরিন্দম বলে ওঠে
-ভালোবাসি তোমায় অনামিকা।
-এই কথাটা এতক্ষণে বললেন উনি।হুহ।
-আবার?
অনামিকা, প্লিজ আজকের মতো অভিমান বাদ দাও।
-আমি যা করি তাতেই তুমি বিরক্ত হও। অরিন্দম কথা বাড়ায় না।ওর খারাপ লাগতে থাকে।
হাঁটতে থাকে দুজন।অনামিকা আলতো ছোঁয়ায় অরিন্দম
হাতটা ধরতে যায়।অরিন্দম থমকে দাঁড়ায়।অনামিকা, অরিন্দম এর চোখের
দিকে তাকিয়ে আবেগমাখা কণ্ঠে বলে ওঠে-
ভালবাসি তোমায়।।
”valobaste valobasi”
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story
No comments
”ভালবাসতে ভালোবাসি”
ভালোবাসা প্রকাশ করার মত কোন ভাষা আজো আবিষ্কার করতে পারিনি,
তাই নীরবতাকেই বেছে নিলাম । কতটুকু ভালোবাসি তা প্রকাশ করার জন্য কোন স্কেল আবিস্কার হয়নি,…
তাই হৃদয় জুড়ে ভালবাসলাম । কেন শুধু তোমাকেই ভালোবাসি,
কারন জানি না বলে কিছু বোলোনা,
অকারণে দোষ দিয়ে দিতে পার ।।
গতকালের চেয়ে অনেক
বেশি ভালোবাসি আজ,
কাল ভালবাসবো অনেক বেশি আরও।
ভুলে যেতে বলেছিলে তোমায়, হুম্মম…
এ জীবনে তো আর সম্ভব না,
আর একবার জন্ম
নিলে চেষ্টা করে দেখতে পারি।
যদি প্রশ্ন করো কেন এতোটা ভালোবাসি !!!
যা প্রকাশ করার ভাষা ,
পরিমাপ করার স্কেল
অথবা কোন কারন আজো পাইনি ।
উত্তর একটাই …”ভালবাসতে ভালোবাসি”
I love you
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
“I love you”
একটি ছেলে একটি মেয়েকে ভালোবাসে কিন্তু
কখনই বলা হয় নি।একদিন
ছেলেটি মেয়েটার
পেছনে হাঁটছে,এমন সময়
মেয়েটা বললো,”তুমি কি কিছু বলবে?”
ছেলে:হ্যাঁ
মেয়ে:কি বলবে?
ছেলে:তোমার চোখ বন্ধ করো
মেয়ে:আচ্ছা ঠিক আছে
ছেলে:এখন তুমি কেমন দেখছো?
মেয়ে:শুধু অন্ধকার
ছেলে:এবার তুমি নিশ্বাঃস বন্ধ করো
মেয়ে:Ok
.
.
.
ছেলে:এই মূহুর্তটুকু নিঃশ্বাস বন্ধ
করে রাখতে কেমন লাগলো?
মেয়ে:নিঃশ্বাসটা নিয়ে যেন
আমি বেঁচে গেলাম
ছেলে:তোমাকে ছাড়া আমার জীবন
ঠিক এমন অন্ধকার।আর তুমি হচ্ছো আমার
সেই বেঁচে থাকার নিঃশ্বাস “I love you”
“valobasi sudu tomake !”
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, sad
No comments
“ভালবাসি !”
কলেজে থাকাকালীন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা। জানিনা কেন তোমাকে আমার তখন এতটুকুও ভাল লাগত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাসে তোমাকে দেখার সাথে সাথে মনে হয়েছিল, উফ! এ মেয়েটি এখানে কেন? না চাওয়া স্বত্বেও যাওয়া আসা তোমার সাথেই করতে হত। এরপর হয়তো কোন এক প্রয়োজনে তোমার সাথে আমার প্রথম কথা বলা। ধীরে ধীরে জানতে শুরু করি তোমার মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত তোমাকে । তোমার সবকিছুতেই যেন ছিল হাসি জড়ানো। কষ্টের মাঝেও তোমার সেই ঝলক মার্কা হাসি যেন থাকবেই। তোমার সেই দুরন্তপনা, স্বচ্ছতা সবই যেন আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। তোমাকে বিরক্ত করলে তুমি যে চেহারাটা বানাতে তা যেন আজও আমার চোখে ভাসে। ভাবতেই হাসি পায়। কেমন অবুঝের মতই না প্রতিটি কথায় তুমি অভিমান করতে। তোমার প্রতিটি জিনিসই তোমার দিকে আমাকে আরো ঝুঁকিয়ে তোলে। তখন কলেজ জীবনের কথা মনে পড়লেই মনে অজান্তেই কেন জানি হেসে উঠতাম। তুমিও হাসতে।
তোমার মনে আছে, শেষ বারের মত যখন আমরা একসাথে বাড়ি ফিরছিলাম সে রাতটির কথা? কেন জানি জোর করেই তুমি বসেছিলে জানালার পাশের সিটটাতে। তোমার এসব কারণ ছাড়া জেদের কথা মনে পড়লে আজও হেসে উঠি। তুমি কি জানো আমি তখন মনে মনে তোমাকে সেই কথাটি বলার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম যে কথাটি শোনার জন্য তুমি অধীর আগ্রহে এতদিন অপেক্ষা করছিলে ? হ্যাঁ… আজো তোমাকে বলা হয়ে উঠেনি আমার মনের সেসব কথা। সত্যি কথা কি জান? তোমাকে যখন অনেক কাছ থেকে চিনতে শুরু করি, তখন তোমাকে ভাল না বেসে যেন পারিনি। অনেক আগেই তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম এসব। কিন্তু বলব বলব করেও বলা হয়নি। ভয় পেতাম। যদি কথাগুলো শোনার পর আমার সঙ্গ, আমার বন্ধুত্বও তোমার কাছে অসহ্য মনে হয়… আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম তোমার সান্নিধ্যে। আজো আছি।
তোমাকে বলার জন্য সবে মাত্র মুখটা খুলেছিলাম আর তুমি কেন জানি “আদিত্য” বলে আর্তচিৎকার করে আমাকে সজোরে ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দিলে। অবাক হয়েছিলাম আমি অনেক তখন। কিছুটা রেগেও গিয়েছিলাম। কিন্তু তোমার চোখের সেই ভয় আজো আমাকে কাঁদায়। তুমি কি বুঝতে পেরেছিলে কি হতে যাচ্ছে? জানই তো, তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয়না। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল তুমি অনেক কেঁদেছ। কিছু একটা নিয়ে অনেক ভয় পেয়েছিলে। কি ছিল সেটা? কেন তুমি আমাকে এভাবে দূরে ঠেলে দিয়েছিলে? কিভাবে তুমি পারলে? এরপর তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ করনি। নতুন কেউ কি এসেছিল তোমার জীবনে যার কারণে তুমি আমাকে এভাবে ভুলে গেলে? না না না। তা হয়না। কিন্তু এ ছয় মাস তোমার কি একটা বারের জন্যও আমাকে মনে পড়েনি? কখন ভাবতেও পারিনি তুমি এমন করবে। অনেক রেগে আছি তোমার উপর। ক্যাম্পাসে আমরা কত মজাই না করতাম একসাথে। তোমাকে ঘিরে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম। মনে আছে তোমার?
তুমিতো কোন খবরই রাখনি, সেদিন আমাকে সরিয়ে দেয়ার পর কি হয়েছিল ? আমার অনেক কিছুই মনে নেই। পরদিন শুনলাম আমাদের বাসটি নাকি একটি খাদে পরে গিয়েছিল। বেপরোয়া চালায় বলে তুমি কখনও এধরনের বাসে উঠতে চাইতেনা। আসলে তুমিই ঠিক ছিলে। এখন বুঝতে পারি। তোমার কথা শোনা উচিত ছিল । সে রাতে সবাই মোটামুটি আহত হয়েছিল। আমার তো বলতে গেলে কিছুই হয়নি। শুধু মাথা একটু ফেটে গিয়েছিল। ফাটবেনা ? তুমি যে জোরে ধাক্কাটা না দিয়েছিলে। তোমার গায়ে তখন এত শক্তি কোথা থেকে এল ভেবে আমি এখনও অবাক হই। শুনেছিলাম ঐ রাতে নাকি একটা মেয়ে মারা গিয়েছিল। আমি দেখতে গিয়েছিলাম তাকে। সাদা কাপড়ে জড়ানো ছিল তার দেহ। কিন্তু আম্মা কেন জানি আমাকে তার কাছে যেতেই দেয়নি। মা দের এধরনের অযথা জেদ দেখলেই রাগ লাগে। শুধু চুল গুলো দেখেছিলাম। তোমার মতই লম্বা চুল ছিল মেয়েটির। অনেক চিন্তিত ছিলাম আমি তোমাকে নিয়ে। তারপর আরো কত কিছু হয়ে গেল। তুমি তো একটি বারের জন্যও খবর নাওনি। আচ্ছা, এটা নিয়ে পরে ঝগড়া করব। আগে সব কথা শেষ করি।
জানো আমাকে ওরা এ ছয়মাস কোথায় রেখেছিল? হাসপাতালের একটি বন্ধ কক্ষে। আশেপাশের সবাই ছিল অসুস্থ। সাদা কাপড় পরা ওই লোকগুলো মাঝে মাঝে নিজে নিজেরাই হাসে, কথা বলে। মায়া হচ্ছিল তাদের দেখে। এসব জিনিস সবসময় তোমাকে আবেগাপ্লুত করে তুলত। তোমার সাহচর্য আমাকে অনেকটা তোমার মতই বানিয়ে দিয়েছিল। বাসার কথা খুব মনে পড়তো। যেতে চেয়েছিলাম আমি বাসায় অনেকবার। তোমার খবরও তো নিতে হবে আমাকে। জানো, চুপি চুপি তোলা তোমার অনেক ছবি ছিল আমার কাছে। কিন্তু তোমার সব স্মৃতি, সব ছবি ওরা কোথায় জানি লুকিয়ে ফেললো। খুঁজেই পাইনা। কিন্তু ওরা জানে না, আমার সাথে এখনো তুমি আছ। লুকিয়ে রেখেছি তোমার একটি ছবি যেটা আমার পকেটে লুকানো ছিল। আর কিছুই নেই তোমার আমার কাছে এখন। শুধু ওই একটি ছবি।
আজকে আমি আবার বাসে করে বাড়ি যাচ্ছি। আমাকে দেখলে এখন তুমি অনেক খুশি হতে। তোমার পছন্দ করা সেই শার্টটি পরেছি আজ। কিন্তু আমার পাশে আর তুমি নেই আজ। অনেক মনে পরছে তোমাকে। তোমাকে যে অনেকগুলো কথা বলা হয়নি, তোমার ছবিটা এইতো পকেটেই ছিল আমার। [মনের অজান্তেই পকেট হাতড়াতে থাকে] আহহহহ! পেয়েছি! তুমি কি এখনও আগের মতই আছো? নাকি আরেকটু মুটিয়ে গিয়েছো? বেশি করে খাওয়া উচিত তোমার। আরেকটু মোটা হলে তোমাকে যেন আরো বেশি সুন্দর দেখাতো। আচ্ছা তোমার চুল কি আরো লম্বা হয়েছে? অনেক পছন্দ তোমার চুলগুলো আমার। যত্ন নিও।
জানিনা কেন বাসটি থেমে গেল? ওহ হ্যাঁ! পৌঁছে গিয়েছি মনে হয়। কিন্তু কোথায় থামাল? এইটা কি আমার বাসা? চিনতে পারছি না তো! নাহ, এইখানে নামবো না। তোমাকে বলার আমার আরও অনেক কথা আছে। আসল কথাটাই তো বলা হয়নি। এই যে ভাই। শুনেন। আমি এখানে নামবো না! আপনারা আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছেন? আশ্চর্য। আপনারা আমার কথার জবাব দিচ্ছেন না কেন? ছি! এইভাবে টানছেন কেন আমাকে? দেখেন ভাই, বেশি হচ্ছে কিন্তু! এগুলো কিন্তু অভদ্রতা।
[ টানা – হেঁচড়ার কারনে বেকায়দায় বাস থেকে পড়ে যায় সে। হাতের ছবিটি যেয়ে পড়ে তার থেকে কিছু দূরে। ছবিটির উপর দিয়ে হেঁটে যায় যাত্রীরা। ] লাবণ্য………….. আমি বুঝতে পারছিনা লোকগুলো আমার সাথে এমন কেন করছে? এই যে ভাই, কি করছেন? আমি যাবো না বললাম তো আপনাদের সাথে। সমস্যা কি আপনাদের? এই যে! আপনারা আমাকে এইভাবে আঁকড়ে ধরেছেন কেন? কারা আপনারা? আমি কি চিনি আপনাদের? [ ইনজেকশনটা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে সে। তাকিয়ে থাকে দূরে পড়ে থাকা সেই ছবিটির দিকে। অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠে ]
“ভালবাসি !”
Tume sudu amar
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, sad
1 comment
তুমি শুধু আমার
সব কিছু ভেঙ্গে যাবার পর আর কোন চাওয়া নেই, নেই কোন বাসনা, নেই কামনা।
কোন কিছুই আর টানে না আমায় শুধু টানে কিছু স্মৃতি কিছু ফিরে না পাবার সময়;
যখন তুমি সাথে ছিলে!
যখন তুমি পাশে ছিলে কতকিছুই থাকতাম ভুলে! আমার অবস্থান, তোমার অবস্থান,
আমার চাওয়া, তোমার পাওয়া, সব ভুলেছিলাম! মনে হয়নি আমি তুমি ভিন্ন
ভেবেছিলাম আমি তুমি মানে আমরা নই আমি তুমি মানে আমি!
কিন্তু সব ভুল ছিল , ছিল সব মিথ্যে আমিও মোহে পড়েছিলাম,
প্রথম ভালবাসার মোহ!
প্রথম নারীর ছোঁয়ার মোহ,
প্রথম বিশ্বাসের মোহ!
যখন তুমি বলতে ভালবাসি;
ভেবেছিলাম তুমি বুঝি কোন স্বর্গের দেবী
ভেবেছিলাম প্রেমের দেবতা নিজেকে!
ভেবেছিলাম আমার নামে পুজো দেবে
কোটি প্রেম-ভক্ত
ভেবেছিলাম আমরাও হব ইতিহাসের সাক্ষ্য!
ভুল, সবই ভুল!
ভালবাসা আর প্রেম
যেমন এক নয়
আমি আর তুমিও এক নই।
Valo thako amar valobasa
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, sad
No comments
ভালো থেকো ভালবাসা
আমি খারাপ একটা ছেলে, তুষ্ট মানুষও বলা যায় ;
অল্পতেই তুষ্ট হইয়ে তোর ছলনাতে ধোঁকা খেয়েছি ;
অবিরত তোর ভবিষ্যৎ কে কাব্যে গদ্যময় করতে আমি নির্ঘুম থেকেছি রাতের পর রাত ;
তবুও বুঝতে পারিনি তোর প্রেমের মধ্যে রহস্যের জাল ছিলো ;
যেটা দিয়ে আমাকে মেঘনা নদীর মতো ছিনিয়ে নিয়েছিলে ভিটা মাটি থেকে ;
আমি তবুও রাগিনী, সামান্য কষ্ট পাও চাইইনি ;
আর কতো, কষ্ট দিবে ;
আমার বুকের ডান পাশে প্রচুর ব্যাথা এখন ;
অজানা সব রোগ বাঁধা বেধেছে আমার শরীরে ;
তবুও তোমাকে ভালবাসি ;
শেষ রক্ত বিন্দু অবধি ভালবেসে যাবো ;
ভালো থেকো ভালবাসা।
Valobasar akte sundor galpo part 4
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
ভালোবাসার একটা সুন্দর গল্প পার্ট ৪
আবির পার্কে বসে আছে এক কর্নারে..আশে পাশে অনেক মানুষ ঘুরতে এসেছে..সবাই অনেক হাসি খুশি..আবির দেখল একটা মেয়ে তার দিকে আসছে..অনেকটা পরিচিত লাগছে..খানিকটা কাছে আসতেই আবির চিনে ফেলল মেয়েটাকে..এ যে সেই বাস স্ট্যান্ডের মেয়েটা..
আবির অনেক খুশি..যাক আজকেও দেখা হয়ে গেল..আজ কি বলে দেবে মেয়েটাকে যে,তাকে অনেক পছন্দ আমার..
– মেয়েটা আবিরের সামনে এসে দাড়াল..আচ্ছা আপনি কি আমাকে ফলো করছেন.?
আবির কেমন জানি ফিল করছে..বুকের ভিতর ধুক ধুক করছে..
– কি হল উত্তর দিচ্ছেন না যে..
– কই না ত..আমিত আপনার ফেসবুক আইডি জানি না, আর ফলো কিভাবে করব..
– আমি ফেসবুকর কথা বলছি না..আমি যেখানেই যাই সেখানেই আপনি থাকেন..ব্যাপার কি..?
আবির কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না..তা দাড়িয়েই কথা বলবেন না কি বসবেন..?
বসে কথা বলতে সমস্যা নেইতো আপনার..?
– মেয়েটা বসল..তারপর জিজ্ঞেস করল, আপনি কি করেন.?
আবির উত্তর না দিয়ে বলল,আপনার নামটা কি জানতে পারি..?
– নাম দিয়ে কি করবেন.?আগে আমার প্রশ্নের জবাব দিন..
–
আসলে আমি আপনাকে ফলো করি না..কাকতালিয় ভাবে আমাদের দেখা হয়ে যায়..হয়ত উপর
থেকেই সব করা হচ্ছে..আর আমি একটা প্রাইভেট কম্পানিতে জব করি..আর আমার নাম আবির..
– হুম..সবই বুঝলাম..তবে আপনার নামটা যেন কেমন অদ্ভুত..আবির,শুনলে কেমন যানি একটা ফিল হয়..যাই হোক না বলতেই সব বলে দিয়েছেন..আমার নাম পরী..পরাশুনা করি ৩য় বর্ষ এবার..
– দু জনের কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে..সূর্য অস্ত যাচ্ছে.
--আবির সূর্য অস্ত যাওয়া দেখছে..সূর্যের লাল রঙ পরীর মুখে এসে পরেছে..দেখতে এখন পরীর মতই
লাগছে..
– আচ্ছা আজ তাহলে উঠি..সন্ধ্যা হয়ে এসেছে..
– আচ্ছা নাম্বারটা কি পেতে পারি..?
– পরী মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল 90889 বাকি ডিজিট গুলো অন্য এক দিন দেব..যে দিন আবার কাকতালিয় ভাবে দেখা হবে আমাদের..
– আবির একটু অবাক হয়ে চেয়ে রইল…পরী চলে গেল..
– ৭ দিন হয়ে গেল,পরীকে আর দেখা যাচ্ছে না বাস স্ট্যান্ডে..আবির
পাগলের মত হয়ে খুজে যাচ্ছে এখানে সেখানে..সারা শহরের সব কয়টা রেস্টুরেন্ট,পার শপিংমল.. কোথাও দেখা মেলে না পরীর..অফিসের কাজেও মন বসে না..অফিস থেকে ৩ দিনের ছুটি নেয়
আবির..
– – বাসায় ফিরে ভাবছে কি করবে এবার..কোথায় পাব পরীকে..পরীর দেওয়া অর্ধেক নাম্বারটার
কথা মনে পরল…বাকি ডিজিটগুলা বসিয়ে অনেক ট্রাই করল কিন্তু কোন নাম্বারই পরীর না..
– আজ ৮ম দিন…মার জানি কি হয়েছে..অনেক অসুস্থ হয়ে পরেছে..হাসপাতাল ভর্তি করেছে আবির..চিন্তায় কুল কিনারা পাচ্ছে না..
– আবিরের একটা বন্ধু আছে..খুব কাছের বন্ধু..এই শহরেই থাকে..একটা প্রাইভেট কম্পানিতে জব করে..ছোট বেলা থেকেই এক সাথে বড় হয়েছে দুই জন..পার্থ নাম..
– আবির ফোন করে সব কিছু জানায় পার্থকে..
– পার্থ সব শুনে চলে আসে হাসপাতালে..দুই জনে মিলে অনেক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় মা সুস্থ হলেই মাকে বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলে দেবে আবির..কিন্তু আবির একা বিয়ে করবে না সাথে পার্থও..দুই বন্ধু একসাথে বিয়ে করবে..
– আবির ডাক্তারের কাছে গেল..কত দিন লাগবে সুস্থ হতে..?
– ডাক্তার বললেন প্রায় ১০-১৫ দিন ত লাগবেই..তবে কাল বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন এবং পূর্ন
রেস্টে রাখবেন..
– আবির সস্থির নিশ্বাস ফেলল.
– মাকে বাসায় নিয়ে গেল আবির..
–আবির আর পার্থ বসে আছে পার্কে..কি করবে এখন..পরীর কোন দেখা নাই..মনের কথা ত বলতে পারলই না, অন্য দিকে মাকে কথা দিতে হবে..চিন্তা করছে আবির..
– অন্য দিকে পার্থ চিন্তায় আছে তার বিয়ের প্রস্তাব কি মেনে নেবে নিলুর পরিবার..?
– নিলু হল পার্থের অর্ধাংশ..৫ বছরের প্রেম তাদের..অনেক মধুর সম্পর্ক দু জনের..নিলুর পরাশুনা শেষ হতে এখনো ২ বছর বাকি..সেই কলেজ লাইফ থেকে পরিচয়
দু জনের..প্রথম দিনেই ঝগরা..তারপ আস্তে আস্তে প্রেম.
– নিলুর আজ আসার কথা পার্কে..সমস্যার একটা সমাধান করার জন্য..
– পার্থ বসে বসে ঘাস চাবাচ্ছে আর ভাবছে আর আবির আকাশ দেখছে..হটাত সামনে এসে দাড়াল নিলু..
– এই ছাগল ঘাস চাবাচ্ছ কেন.?
– তুমি এসেছ এতক্ষনে..ঘাস চাবাব না ত কি করব..আমি ত তাও কিছু করছি আর ঐ দেখ আরেক জন চিন্তায় আকাশের সীমানা মাপছে..
– নিলু আবিরকে সালাম দিয়ে বলল ভাল আছেন ভাইয়া.?
– না..ভাল আর কি করে থাকি..চিন্তায় জীবন শেষ..
– নিলু দুই জনের সব কথা শুনল..তারপর পার্থকে বলল আজই বাসায় প্রস্তাব পাঠাতে..বাকি কাজ নিলু সামলে নিবে..আর আবিরকে বলল ভাইয়া কি আর করবেন যাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে ভুলে যান..মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন..
– হুম নিলু..আমিও তাই ভাবছি..পরী বসন্ত বাতাসের মত এসে কাল বৈশাখি ঝরের মত চলে গেল..যাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে যাবে না তাকে মনে রেখে লাভ কি..আজই মাকে হ্যাঁ বলে দেব..আর পার্থ তুই আজই কিন্তু প্রস্তাব পাঠাবি.
– আবির বাসায় এসে বসে বসে ভাবছে..তারপর এক পর্যায়ে মার কাছে যায়.
– কি রে বাবু কিছু বলবি..?
– হ্যাঁ..মা আমি তোমার পছন্দের মেয়েকে বিয়েতে রাজি..
– যাক অবশেষে সুবুদ্ধি হল..তা মেয়ে দেখবি না.?
– নাহ..তুমি দেখেছ তাতেই হবে..তুমি মেয়ে পক্ষের সাথে কথা বল..বিয়ের দিন ঠিক
করে জানাও..পার্থকে জানাতে হবে..
– আবির মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে সোজা পার্থের বাসায়
চলে এল..
– কিরে আবির বলে দিলি তাহলে..আমিও প্রস্তাব পাঠিয়েছি..ওরা রাজি হয়েছে..নিলু সব
মেনেজ করে নিয়েছে..এখন তোর বিয়ের দিন ঠিক হলেই হল..
– পার্থ আমার না পরীর জন্য কেমন করছে মনটা..মনে হচ্ছে কি যেন
হারিয়ে ফেলছি..
– আরে মন খারাপ করিস না আবির.যা হবার ছিল তাই হচ্ছে..চল শপিং এ যাই মন ভাল
হয়ে যাবে..
– চল তাই করি..মনটা ভাল করা দরকার..তা ছারা বিয়ে ত ঠিক হয়েই গেছে..মাকে একটা ফোন করে চল বেরিয়ে পরি..
– দুই বন্ধু মিলে গেল শপিং করতে..খুব আনন্দ করছে দুই জন..অনেক শপিং করল
বিয়ের..হটাৎ পিছন থেকে পরীর গলার আওয়াজ.
– আরে আবির ভাই না..কেমন আছেন..?ওয়াও এত্ত শপিং করছেন..ব্যাপার কি..?
– ভাল আছি না মন্দ আছি তা জেনে তুমি কি করবে..কত খুজেছি তোমাকে..কোথায়
হারিয়ে গিয়েছিলে..?অবশ্ য এখন এ সব বলে আর কি লাভ..
– কেন.?লাভ নেই কেন.?আর আমি অসুস্থ ছিলাম অনেক..
– ও..থাক ভালই আছ মনে হয়..ক দিন পরে আমার বিয়ে..তাই আর পুরান
কথা তুললাম না..ভাল থেক..
– ওয়াও..congratul ation অগ্রিম..আমাকে ইনভাইট করবেন না..?
– কি করে করব..তোমার ত শুধু অর্ধেক নাম্বার জানি আর বাসার ঠিকানাও
জানি না..
– তাও ঠিক..তাহলে আপনার নাম্বার দিন আমি বিয়ের দিন চলে আসব ফোন করে..আর
বাকি 5টা ডিজিত নিন 63059..বাকি তিনটা বিয়ের দিন গিফটে লিখে দেব..
– আবির অবাক..মেয়ে বলে কি..যাই হোক মনের মানুষ ত..আবির নিজের নাম্বারটা দিয়ে দিল..
———–
– আজ পার্থ আর আবিরের বিয়ে..দুই বন্ধু এক সাথে বরের সাজে সেজেছে..পার্থ অনেক
খুশি কিন্তু পথের মনটা আজও খারাপ..কেন যে সে দিন পরীর সাথে দেখা হয়েছিল..
– সবাই এসে গেছে বিয়েও শেষ..আবিরের বিয়ে হল মেঘ নামের এক অজানা অদেখা মেয়ের সাথে..আর পার্থর হল নিলুর সাথে..
– সবাই চলে যাচ্ছে..অনুষ্ঠা ন শেষ..আবির এখনো অপেক্ষা করছে পরীর জন্য..শেষ
দেখাটা অন্তত দেখার জন্য..কিন্তু পরী যে আসে না..
– বাসর রাত আজ আবিরের..অদেখা আর অচেনা এক মেয়ের সাথে যাকে সে এখনো দেখেনি..
– রুমে ঢুকতেই মেঘ একটা গিফট এগিয়ে দিল আবিরকে..বড় ঘোমটা থাকার
কারনে চেহারাটা দেখতে পেল না আবির..
– গিফটা নিয়ে খুলতেই..
– সেখানে লেখা বাকি তিনটা ডিজিট দিলাম মন চাইলে কল কর নইলে বিছানায়
আস..
– আবির অবাক হয়ে চেয়ে আছে লেখাটার দিকে..তাহলে এই কি আমার পরী..?
– দেরি না করে ঘোমটা তুলতেই সেই চির চেনা মুখটা দেখতে পেল আবির..এই ত আমার পরী..
– কি অবাক হলেন.?খুজে পেলেন আপনার পরীকে..
– তুমি কেন..?আমার ত মেঘের সাথে বিয়ে হয়েছে..মেঘ কোথায়..?
– আমিই মেঘ..মেঘ জান্নাত পরী..এখন বলেন পরীকে ভালবাসেন না মেঘকে.?কার
সাথে সংসার করবেন..?
– উত্তরে একটাই নাম আসে পরী..আমি তোমাকে ভালবাসি পরী..অনেক
ভালবাসি..
– আর কিছু দিন পর বললে হয়ত আমাদের বাচ্চারাও শুনতে পারত..তা কেমন লাগল
সারপ্রাইজ..সবই ছিল প্লান করা..আমার শাশুরি আম্মা আর আমি দুজনে মিলেই এই
প্লান করেছি…
– ওও…আর আমি কষ্টে মরে যাচ্ছিলাম তার দিকে খেয়াল নাই..
– খেয়াল আছে বলেই ত রোজ খোজ নিতাম
আপনার..
– তা আপনি করেই বলবে না তুমি করে..
– আমার না লজ্জা লাগছে এখন..
– ওরে আমার লজ্জাবতিরে..
এভাবেই খুনসুটি আর গল্পে কেটে যাচ্ছিল
দুই ভালবাসার পাখির দিনগুলো…
…..ছোট সে ঘরে জায়গা দিলাম
……মনের দুয়ার খুলে,
……বাসবে কি ভাল এমন করে
……সারা জীবন ধরে
Ame sara jibon apekha korte pare tomar jonno
live life proudly
February 26, 2018
bengali love story, love story
No comments
আমি সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারি
জীবনএ অনেক কিছু হারানোর পর আবির খুবই ভেঙ্গে পড়েছে। আবির ঠিক বুজতেই পারছিল না সে কী করবে। একবার মনে হচ্ছিলো সব শেষ করে দিতে, আবার মনে হচ্ছে ভালোবাসাকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে। আজ থেকে ৯মাস পাপিয়ার থাকে দূরে সরে থাকতে হবে। যার থাকে একদিনও দূরে সরে থাকতে পারিনা, তার থাকে কি করে এতদিন দূরে সরে থাকবো এটিই আমাকে থাকতে দেখে না। কিন্তু ওকে কথা দিয়েছি আমি ওর থাকে দূরে থাকবো।
এখন শুধু অপেক্ষা ৯মাস। তার আগে অবশ্য ২মাস পরে আমার বাড়ির লোকজন পাপিয়াকে ডাকতে যাবে। সেদিনের কথা ভেবে আমি ভীষণ খুশি। আবার একদিকে কষ্টহচ্ছে ,জানি না ও কী উত্তর দেবে। ও আমার সাথে আর থাকবে কী না আমি জানিনা। ও না থাকলে আমার প্রত্যেকটা দিন , আমাদের সব স্বপ্ন, আমাদের কাটানো প্রতি সময় আজ খুব মিসস করছি।
তোমার জন্য আমি সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারি , সারাজীবন করবো। যত ভুল করেছি তার সব কিছুর জন্য আমি ভীষণ দুঃখিত।
Sunday, 25 February 2018
বীজপুর পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত "safe drive and save life" পথও যাত্রা।
বীজপুর পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত "safe drive and save life" পথও যাত্রা।
A rally on traffic awareness and road safety has been organised by Bizpur ps at Kanchrapara .Chairman of Kanchrapara Municipality ,Chairman of Halisahar Municipality ,ACP-1 Bkp div,IC of Bizpur PS ,Teachers and students of schools ,Scouts and others participated in the rally.
Valobasar akte sundor galpo part 3
live life proudly
February 25, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
আই লাভ ইউ
আই লাভ ইউ , আমি জানিনা আমি কোথায় যাচ্ছিলাম? কোনো যাচ্ছিলাম?
কিন্তু তোমার হাসির শব্দ শুনে আমি থমকে যাই, অবক হয়ে তোমাকে দেখতে থাকি। এবং নিজেকে তোমার ঐ দুটি চোখে হারিয়ে ফেলি। আমি শুধু তোমাকে অনুসরণ করে চলছিলাম। আমি তোমার অনেকে কাছে চলে যাই, যেখান থেকে খুব স্পষ্ট ভাবে তোমাকে দেখা যাচ্ছিল। একে একে আমার রিদযের শব্দ গুলো আরো জোরালো হতে থাকে। কোনো জানি সবকিছু জাদুর মতো মনে হচ্ছিলো। তোমার খেয়ালি চোখের দৃষ্টি ,চুপিসারে আমাকে দেখছিল। ভালোলাগার সময় গুলো চলেজেবার পর আমি অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু আমার কবিতা গুলো তোমাকে ছেড়ে আসতেই চাইছিলনা। তুমিও বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলে। তোমার চারপাশ জুড়ে ছিল আমার উপস্থিত। শুধু তুমি না, তোমার বান্ধবীরাও টের পেয়েছিল ব্যাপারটি। কাওকে দেখে এতটা ভালোবাসা যায়!!
valobasae akta sundor galpo part 2
live life proudly
February 25, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
আবির আর তুলি এখন ভীষণ সুখী। তবে তারা আর একসাথে থাকে না, তুলির বিয়ে হয়ে গেছে ২বছর হলো। আর আবির এখন পড়া ছাড়ে কাজ এর জন্য ছুটে বাড়াচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। অনেকে দ্যাযিত্ব আবির এর। তাও আবির ভীষণ সুখী। কারণ বন্ধুরা আবিরকে খুব সহাজ্য করেছে। আজ তেমনি একটা বন্ধুর বিয়ে, আর সব বন্ধুরা সেখানে এসেছে। কতো দিন পরে সবার সাথে দেখা হলো।
সেখানেই দেখা পাপিয়ার সাথে, তার সাথে কোনো দিনও ভালকরে কথা হয়নি, তবে তারা একসাথে পড়তো। পাপিয়া আগে ভীষণ ঝগড়া করতো, তাই কথা বলতে সবাই ভয় পেতো। আজ আবিরও কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলো। কিন্তু বিয়ে বাড়িতে কেও ঝগড়া করে নাকি, এই ভেবে কথা বললো। আর জানতে পারলো, সে আগে যে পাপিয়াকে চিনতো, সেই পাপিয়া আর আজকের পাপিয়া অনেক আলাদা। এখন সে পুরো বদলে গেছে। তার কথা, তার সেই ঝগড়া করা, আজ আর নেই। আজ সে শান্ত-শিষ্ট-ভদ্র একটা মেয়ে। পাপিয়ার সাথে কথা বলে, আবির এর ভীষণ ভালোলাগে পাপিয়াকে।সে আরো কথা বলতে চাইছিল।
valobasar akta sundor galpo part 1
live life proudly
February 25, 2018
bengali love story, love story, romantic
No comments
ভালোবাসার একটা সুন্দর গল্প
তখন আবির আবাক হয়ে মেয়েটার কথা শুনতে থাকে, মেয়েটার কথা গুলো আবির এর মনে এমন ভাবে গেথে যাচ্ছিল সে কিছুই বলতে পারছিল না। সে শুধুমাত্র মেয়ে টিকেই দেখে যাচ্ছিল । সেদিন রাতে আর আবির এর ঘুম আসেনি। সে শুধু ভাবছিল , এখন সে কি করবে। একদিকে বন্ধু আর একদিকে ওই মেয়েটি, যার নাম টুকু সে জানতে পারেনি। মেয়েটি তাকে এতটা ভালোবাসে,তাই আবির বুঝতেই পারছিল না কোনটা বেছেনেবে। অবশেষে মেয়েটির ভালোবাসাকে বেছে নেওয়া ছাড়া কোনো রাস্তাই ছিল না। আজ আবির আর তুলি খুব সুখী, ওদের সম্পর্ক আজ ৫বছর হচ্ছে। ওও আপনাদের তো বলতেই ভুলেগেছি, মেয়ে টার নাম তুলি।।