"শেষ হয়ে হইলো না শেষ"
মনে আছে তোমার, সেই একদিন দুজনে একসাথে বসেছিলাম গঙ্গার ধারে। কত কথাই না বলেছিলে তুমি, আমি নির্বাক হয়ে শুনছিলাম তোমার কণ্ঠস্বর । আর ভাবছিলাম, এইরকম দিনকি আর আসবে কোনো দিনও?
আমরা দুজনে কতই না আলাদা। দুজনের চোখে দুটো আলাদা পৃথিবী। রাগ, অভিমানের পালা বদলের মাঝে জিতবে তো আমাদের বন্ধুত্ব? চিরস্থায়ী হবেতো আমাদের সম্পর্কটা?....
সেদিন বিকালে ফুচকা, পাপড়ি চাটের স্বাদটা ছিল আলাদা। তাতে মেশানো ছিল টক,মিষ্টি,আর তোমার তিক্ত কথার অনুভূতি। তোমার কথার তিক্ততায় স্তব্ধ হয়েছিল চারপাশ। ব্যাথিত হয়েছিল অন্তর, সিক্ত হয়েছিল হৃদয়। নদীর মিষ্টি জলের সাথে নোনাজলের এইরূপ মিশ্রণ সত্যি কী স্বাভাবিক?
সূর্যাস্তের সাথে সাথে সময় চলছে নিজের গতিতে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্ধকার নেমে আসবে আকাশের বুকে। হঠাৎ মনে হলো, এই সময়টা কি এখানে থেমে যেতে পারে না। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দে আর কী কখনো বন্দি হবে এইরকম সময়? সময় প্রায় শেষের পথে, সূর্যের রক্তিম আভায় গাছে বসেথাকা ক্ষুদে টিয়ার কূজনে, নদীর শিথিল স্রোতে, মৃদু বাতাসের ছোয়ায় কিছুটা সংকেত ধরা দিছিলো, আর বাকিটা "তোমার আর আমার"।।
"শেষ হয়ে হইলো না শেষ"।